দীর্ঘ দিন পরকীয়া করার পর মনোমালিন্য হওয়ায় টাঙ্গাইলের সখিপুরে যুবলীগের আহবায়কের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেছেন উপজেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত আট টার দিকে ওই মামলায় সখিপুর পৌর শহরের আবুল মৌলভী মার্কেটের নিচ তালা নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অভিযুক্ত আজাদ কে গ্রেফতার করে সখিপুর থানা পুলিশ।
আজাদ সখীপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে ও বহেড়াতৈল ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক।
গ্রেফতারকৃত আজাদ জানিয়েছেন, জোরপূর্বক পরকীয়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।
আমি রাজি না হওয়ায় মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দেওয়া হয়েছে।
একই ভাবে তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সখিপুর থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগ সভাপতি সানজিদা শারমিন লিমা একই উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়ন যুবলীগ আহ্বায়ক আজাদ রানার (৩৫) বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
আদালতের নির্দেশেই শুক্রবার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
ওই মামলার ভিত্তিতে আজাদকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাত ৮টায় গ্রেফতার করেছে সখিপুর থানা পুলিশ।
বাদী ও বিবাদী দুইজনই বিবাহিত এবং দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরকীয়া চলছিল।
বাদী সানজিদা শারমিন লিমার স্বামীর নাম হারুন অর রশিদ।
তারা পৌর সভার কাহার্তা গ্রামে বসবাস করেন।
সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, আদালতে ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশক্রমে থানায় এফআইআর দায়েরের পর আজাদকে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।