ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। এ সময় চুরি হওয়া দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
সম্প্রতি ফরিদপুর শহরে একাধিক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের হলে চোরচক্রকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। শনিবার রাতভর চালানো বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী কোতয়ালী থানার এসআই নুর হোসেন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনই পেশাদার চোর। তারা নিয়মিত মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চুরি করে থাকে। তাদের কাছে বিশেষ ধরনের চাবি রয়েছে, যার মাধ্যমে যেকোনো মোটরসাইকেল চালু করা সম্ভব। এর আগেও তারা একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় চুরির কাজে জড়িয়ে পড়ে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—
শহরের আলীপুর গোরস্থান এলাকার মামুন মোল্লার ছেলে তামিম মোল্লা,
আলীপুর কানাই মাতুব্বরের মোড় এলাকার সরোয়ার হোসেনের ছেলে আনিক ইসলাম,
একই এলাকার ইউনুছ শেখের ছেলে রাতুল শেখ,
চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের হামেদ মুন্সী ডাঙ্গীর আনোয়ার শেখের ছেলে লিয়ন শেখ,
শহরের শোভারামপুর এলাকার সাইদা গাছীর ছেলে সিদ্দিক সরদার,
সদর উপজেলার ইব্রাহিমদী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে এনামুল
এবং নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার চান্দেরচর গ্রামের মুক্তার শেখের ছেলে সাব্বির হোসেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুরে শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকা থেকে জুনায়েদ হাবিব নামের এক শিক্ষকের মোটরসাইকেল চুরি হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে প্রাথমিকভাবে চোরদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ প্রথমে তামিম ও আনিককে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মোটরসাইকেল চুরির কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার এবং চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে এবং তাদের কাছে আরও একটি মোটরসাইকেল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে এবং রোববার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।