ফরিদপুরের সদরপুরে দাম্পত্য কলহ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে শরীয়ত পরিপন্থী আচরণের অভিযোগ তুলে স্বামী কর্তৃক বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ প্রদানের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন (শরীয়ত) অধ্যাদেশের ৭(১) ধারা অনুযায়ী স্ত্রী রুখসাত জাহান রিদি-কে তালাকের আইনগত নোটিশ প্রদান করেন স্বামী মো. সুজাত মল্লিক।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ঠেঙ্গামারী গ্রামের মৃত ধলা মল্লিকের পুত্র মো. সুজাত মল্লিকের সঙ্গে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার তাম্বুলখানা গ্রামের ওবায়দুর মল্লিকের কন্যা রুখসাত জাহান রিদির বিবাহ সম্পন্ন হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি প্রায় দুই বছর বয়সী পুত্র সন্তান রয়েছে।
স্বামী মো. সুজাত মল্লিক অভিযোগ করেন, বিবাহের পর থেকেই স্ত্রীর আচার-আচরণ ইসলামী শরীয়ত ও দাম্পত্য বিধানের পরিপন্থী ছিল। একাধিকবার সংশোধনের চেষ্টা করা হলেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন বলে দাবি করেন।
তালাকের নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, স্ত্রীর নৈতিকতা বিরোধী আচরণ ও শারীরিক অযোগ্যতার বিষয়টি দাম্পত্য জীবনে গুরুতর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে, যা শরীয়তের বিধান অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয়।
মো. সুজাত মল্লিক আরও জানান, তিনি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে এবং কোনো প্রকার প্ররোচনা ছাড়া ‘তালাকে বায়েন’ প্রদান করেছেন। আইনি প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয় ফরিদপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড (পশ্চিম) এলাকার নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী মাওলানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন-এর মাধ্যমে।
আইন অনুযায়ী, তালাক সংক্রান্ত নোটিশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং স্ত্রীর ঠিকানায় প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দাপ্তরিক রেকর্ডের জন্য একটি কপি কাজী অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে।
এ বিষয়ে স্ত্রী রুখসাত জাহান রিদি বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।